হাতে মেহেদি লাগানোর আগে-পরে যা করবেন
ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় :
৩০-০৩-২০২৫ ০৪:২১:৩৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
৩০-০৩-২০২৫ ০৪:২১:৩৯ অপরাহ্ন
ছবি: সংগৃহীত
ঈদের উৎসবকে আরও রঙিন করতে মেহেদির নকশা অনেকের পছন্দের তালিকায় থাকে। তবে মেহেদি লাগানোর আগে ও পরে কিছু যত্ন নেওয়া জরুরি। বিশেষ করে, মেহেদির রং সুন্দরভাবে বসাতে এবং ত্বকের ক্ষতি এড়াতে কিছু নিয়ম মানা উচিত। অনেকেই মেহেদি দেওয়ার আগে হাতে মেনিকিউর বা ব্লিচ করে থাকেন, তবে রূপ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেহেদি লাগানোর আগে বা পরে হাতে ব্লিচ করা উচিত নয়। তবে মেনিকিউর করা যেতে পারে। চলুন জেনে নিই হাতে মেহেদি লাগানোর আগে পরে কি কি করতে হবে।
মেহেদির রং দীর্ঘস্থায়ী ও উজ্জ্বল করতে করণীয়
ব্লিচ থেকে বিরত থাকুন – হাতে মেহেদি লাগানোর অন্তত তিন দিন আগে ব্লিচ করা যাবে না।
পরিষ্কার হাত – মেহেদি লাগানোর আগে ভালো করে হাত ধুয়ে শুকিয়ে নিন।
এক্সফোলিয়েশন করুন – হাতে মরা কোষ থাকলে মেনিকিউর করিয়ে নিতে পারেন, এতে মেহেদির রং আরও ভালো বসবে।
মেহেদি দীর্ঘক্ষণ রাখুন – প্রাকৃতিক মেহেদি ব্যবহার করলে সারা রাত রাখাই ভালো, তবে কমপক্ষে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা রাখা উচিত।
লেবু ও চিনি ব্যবহার করুন – হাত ধোয়ার পর লেবুর রস ও চিনি মিশ্রিত তুলা দিয়ে আলতোভাবে মেহেদির ওপর লাগান, এটি মেহেদির রং গাঢ় ও স্থায়ী করতে সাহায্য করবে।
বাজারের কেনা মেহেদিতে অনেক সময় কেমিক্যাল থাকে, যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই পুরো হাতে মেহেদি লাগানোর আগে হাতে ছোট্ট একটি অংশে পরীক্ষা করে নিন। যদি কোনো অস্বস্তি বা অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে সেই মেহেদি ব্যবহার না করাই ভালো।
এবার চলুন জেনে নিই জনপ্রিয় কিছু মেহেদির নকশা। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের নকশা জনপ্রিয়, যেমন—
অ্যারাবিক
মানডালা
জলছাপ
চেক
ফ্লোরাল
মিনিমালিস্টিক
ঝুমকা
চেইন
নূপুর
আংটি
ইমারত
ট্যাটু স্টাইল
গোল নকশা
আঙুল নকশা
পানপাতা
গম্বুজ
এছাড়া, চাইলে মৌলিক নকশায় হাত সাজাতে পারেন। নকশার ধরন ভরাট কিংবা হালকা হতে পারে। লম্বা হাতের জন্য মানডালা নকশা ভালো মানায়। সঠিক যত্ন ও নিয়ম মেনে মেহেদি লাগালে হাতের সৌন্দর্য দ্বিগুণ হয়ে উঠবে।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স